হোন্ডা শাইন বাইক কেমন? বিস্তারিত রিভিউ ২০২৫

ভূমিকা :

গ্রাম ও শহর কাঁপানো হোন্ডা সাইন  ১২৩.৯৮ cc  মধ্যে অত্যান্ত আধুনিক টেকনোলজি দিয়ে বানানো এই হোন্ডা সাইন নতুন (honda shine latest)  মডেল। 4 স্ট্রোক, SI, BS-VI ইঞ্জিন ও ১১ Nm @ ৬০০০ rpm টর্ক অসাধারণ একটা মডেল। বাইকটি মাইলেজ প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ কিমি প্রতি এক লিটার জ্বালানিতে। আজকের আমাদের আর্টিকেল হোন্ডা সাইন (Honda Shine) নতুন মডেল নিয়ে  বিস্তারিত রিভিউ থাকলো শেষ পর্যন্ত পরে যান এই হোন্ডা সাইন বাইক দাম (Honda Shine bike price) ও বাইকের  সম্পূর্ণ ফিচার এবং বাইকটি আপনার দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগবে কিনা জেনে যাবেন।

Honda SP 125 BS6 Blog Table
হোন্ডা শাইন বাইকের বৈশিষ্ট্য
বিষয়বস্তুবিবরণ
মডেল নামHonda Shine
ইঞ্জিন টাইপ124cc, 4-স্ট্রোক, এয়ার কুলড
পাওয়ার (HP)10.7 HP @ 7,500 RPM
টর্ক (Nm)11 Nm @ 6,000 RPM
গিয়ার বক্স5-স্পীড ম্যানুয়াল গিয়ার
মাইলেজ55-65 কিমি প্রতি লিটার
ব্রেক টাইপসামনে ডিস্ক ব্রেক, পিছনে ড্রাম ব্রেক
সাসপেনশন (সামনে)টেলিস্কোপিক ফর্ক
সাসপেনশন (পিছনে)ডুয়েল হাইড্রোলিক শক অ্যাবজর্বার
ওজন114 কেজি
সর্বোচ্চ গতি95-100 কিমি প্রতি ঘণ্টা
হেডলাইটহেলজিন বাল্প
টায়ার টাইপটিউবলেস
চাকা প্রকারঅ্যালয় হুইল
চাকা সাইজসামনে: 80/100-18, পিছনে: 80/100-18
স্টার্টিং অপশনইলেকট্রিক ও কিক স্টার্ট
রঙের অপশনব্ল্যাক, রেড, গ্রে, ব্লু, সিলভার
দাম (প্রায়)₹ 83,834 – ₹ 87,834 (এক্স-শোরুম)
বিশেষ বৈশিষ্ট্যeSP টেকনোলজি, ACG সাইলেন্ট স্টার্ট, ইকোনোমি ইন্ডিকেটর

বাইকের ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি

হোন্ডা সাইন বাইকটিতে একটি ডায়মন্ড টাইপ চেসিস ব্যবহার করা হয়েছে। বাইক তৈরিতে উন্নতমানের মেটালের পাশাপাশি প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ী এবং ঝাঁকুনিপূর্ণ রাস্তায় ভালো পারফরম্যান্স দেয়।সামনের অংশে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন এবং পেছনে হাইড্রোলিক শক অ্যাবজর্বার যুক্ত করা হয়েছে, যা রাস্তার ধাক্কা শোষণ করতে কার্যকর।এই বাইকে টিউবলেস টায়ার এবং ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক অপশন রয়েছে, যা রাইডারদের সেফটি নিশ্চিত করে।

Honda Shine বাইকের ডিজাইন
Honda Shine বাইকের ডিজাইন
  • ফুয়েল ট্যাঙ্ক:

বডিতে যেমন গ্রাফিক্সে আছে ফুয়েল ট্যাঙ্ক তেমন গ্রাফিক্সে করা হয়েছে। যা বাইক টাকে আরো প্রফেশনাল লুক দেয়।

  • সিট ডিজাইন:

বাইকটা লম্বায় অনেক বড় যা প্রায় দুই থেকে তিন জন ভালো ভাবে যেতে পারবে। সিটটা আনেক নরম দীর্ঘ যাত্রার জন্য উপযুক্ত করে তোলে।

  • চেসিস:

বাইকটিতে একটি ডায়মন্ড টাইপ চেসিস ব্যবহার করা হয়েছে, যা এটি স্টেবল এবং রাইডের সময় নিরাপদ করে তোলে।

  • মেটেরিয়ালস:

বাইক তৈরিতে উন্নতমানের মেটালের পাশাপাশি প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ী এবং ঝাঁকুনিপূর্ণ রাস্তায় ভালো পারফরম্যান্স দেয়।

  • সাসপেনশন:

সামনের অংশে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন এবং পেছনে হাইড্রোলিক শক অ্যাবজর্বার যুক্ত করা হয়েছে, যা রাস্তার ধাক্কা শোষণ করতে কার্যকর।

  • টাইর ও ব্রেকিং সিস্টেম:

এই বাইকে টিউবলেস টায়ার এবং ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক অপশন রয়েছে, যা রাইডারদের সেফটি নিশ্চিত করে।

ধারাবাইক.কম বিজ্ঞাপন
ধারাবাইক.কম ব্লগে স্বাগতম!

আপনার প্রিয় বাইক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ধারাবাইক.কম ব্লগ সেরা জায়গা। বাইকটির দাম, ইঞ্জিন ক্ষমতা, মাইলেজ এবং আরও অনেক কিছু জানুন এক প্ল্যাটফর্মেই।

🏸 Honda SP 125 বাইক সম্পূর্ণ এ টু জেড রিভিউ

ইঞ্জিন এবং পারফরমেন্স

হোন্ডা বাইকে(Honda Shine) ইঞ্জিন দিক থেকে খুব ভালো এই হোন্ডা সাইন বাইকে Air Cooled ইঞ্জিন পাঁচটি জিয়ার দেয়া আছে। বাইকটির সর্বোচ্ছ গতিবেগ ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টা যা ১২৩.৯৪ cc বাইকে মধ্যে অনেক ভালো। যারা প্রতিদিন ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য খুবই ভালো।

Honda Shine ইঞ্জিন এবং পারফরমেন্স
Honda Shine ইঞ্জিন এবং পারফরমেন্স
  • ইঞ্জিন টাইপ :

4 স্ট্রোক, SI, BS-VI,Air Cooled ও ১২৩.৯৪ cc ইঞ্জিন দিয়ে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারবেন। 

  • পাওয়ার আউটপুট:

ইঞ্জিনটি ১০.৭ বিএইচপি @ ৭৫০০ আরপিএম শক্তি উৎপন্ন করে। যেটি ওজন নেবার জন্য অনেক ভালো। 

  • টর্ক:

এটি ১১ এনএম @ ৬০০০ আরপিএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম, যা বাইকটিকে দ্রুত অ্যাক্সেলেরেশন প্রদান করে ও কম সময়ের মধ্যে গতি অনেক বেড়ে যায়।

  • গিয়ারবক্স:

৫-স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্সটি মসৃণভাবে গিয়ার পরিবর্তনে সহায়তা করে। জিয়ার গুলি সব গুলো উপরে দিকে তুললে গিয়ে কমে যাবে আবার নিচের দিকে নামলে কমে যাবে। 

  • টপ স্পিড:

বাইকটির সর্বোচ্চ গতি প্রায় ১০০ কিমি/ঘণ্টা, যা শহর এবং হাইওয়ে উভয়ের জন্যই উপযুক্ত ও গ্রামের এবড়ো খেবড়ো রাস্তায় ভালো চলবে।

মাইলেজ এবং ফুয়েল ইফিশিয়েন্সি

হোন্ডা সাইন ফুয়েল ইফিশিয়েন্সির জন্য বাইকপ্রেমীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারে জ্বালানি সাশ্রয় নিশ্চিত করে এবং দীর্ঘ যাত্রার জন্য আরামদায়ক করে তোলে। এই হোন্ডা সাইন বাইকে কত জ্বালানি কাছে আপনি নিজে জানতে পারবেন যা বেশ অনেক ভালো।

Honda Shine ফুয়েল ইফিশিয়েন্সি
Honda Shine
  • মাইলেজ:

উন্নত PGM-Fi (Programmed Fuel Injection) প্রযুক্তির কারণে এটি প্রায় ৫৫ থাকে ৬০ কিমি/লিটার মাইলেজ দিতে পারে। হাইওয়েতে মাইলেজ প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কিমি/লিটার।

  • ফুয়েল ট্যাংক :

 বাইকটির ট্যাংকে মোট ১০.৫ লিটার পর্যন্ত জ্বালানি রাখা যায় ও রিজার্ভ ক্যাপাসিটি প্রায় ১.৩ লিটার, যা জরুরি অবস্থায় যথেষ্ট সাপোর্ট দেয়।

  • ফুয়েল ইফিশিয়েন্সি :

হোন্ডা শাইনে ব্যবহৃত ইকো-টেকনোলজি ইঞ্জিনকে দক্ষতার সাথে চালিত করে এবং ফুয়েলের অপচয় রোধ করে। Enhanced Smart Power প্রযুক্তি ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে দেয়।

ধারাবাইক.কম বিজ্ঞাপন
ধারাবাইক.কম ব্লগে স্বাগতম!

মনে রাখবেন বাইক চালানোর সময় নিজের সেফটি নিজের কাছে রাখবেন নইলে বিপদ হতে পারে । এই ব্লগ পোস্টটি আপনার কেমন লাগলো নিচের কমেন্ট বাক্স আছে জানিয়ে যাবেন। বাংলায় বাইকের রিভিউ পেতে প্রতিদিন ভিসিট করুন ও ব্লগটি শেয়ার করে আমাদের পশে থাকুন।

🏸 Honda SP 125 বাইক সম্পূর্ণ এ টু জেড রিভিউ 2025

ফিচার এবং টেকনোলজি

হোন্ডা সাইন(Honda Shine) ফিচার এবং টেকনোলজি একটা শক্তিশালী হেলজিন বাল্ব ব্যবহার করা হয়েছে।  নরমাল মিটার ও ACG সাইলেন্সার, সামনে টেলিস্কোপিক এবং পেছনে হাইড্রোলিক সাসপেনশন দিয়ে তৈরি। ফিচার দিক থেকে হোন্ডা কোনো কম কিছু দিয়ে রাখেনি দাম অনুযায়ী মোটা মুটি ঠিক ঠাক আছে। 

  • সাইলেন্ট স্টার্ট:

ACG (Alternating Current Generator) স্টার্টার মোটর মূলত বাইকের ইঞ্জিন চালু করার সময় ব্যবহৃত হয়। এই সাইলেন্ট স্টার্ট অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ব্যবহার করেছে কোম্পানি। এই সাইলেন্ট স্টার্ট কারণে খুব কম শব্দ বাহিরে প্রবেশ করে ও জ্বালানি খরচ অনেক করে।

  • সাসপেনশন:

সামনে টেলিস্কোপিক  এবং পেছনে হাইড্রোলিক সাসপেনশন দিয়ে তৈরি। আপনি যত খারপ রাস্তায় জাননা কেন ভাইব্রেসন বা ঝাটকা লাগলে আপনার মনে হবে না বাইক স্মোথলি চলবে ।

  • ব্রেকিং সিস্টেম:

 হোন্ডা সাইন সামনের ব্রেক ১৩০ mm ও পেছনের ১৩০ mm (১৮ ইঞ্চি ) ড্রাম ব্ৰেক ব্যবহার করা হয়েছে এবং CBS ব্রেকিং সিস্টেম যেটা খুবই ভালো ।

  • হোন্ডা সাইন এর দাম কত

Honda Shine price বাইকটি খুব অসাধারণ নতুন ফিচার ও টেকনোলজি দিয়ে ড্রাম এর দাম হলো ₹ 83,834 ও ডিস্ক দাম ₹ 87,834 টাকা।

  • EMI কিনতে হলে কি করবেন

বাইক কেনার সময় সব সময় মনে রাখবেন শোরুম ও ফাইনান্সার অনেক কথা বলবে কিন্তু আপনি সব দিক ভেবে চিনতে কিনবেন। বাইক কেনার সময় বাইকের বডি মিটার টাওয়ার আরো অন্য সব কিছু দেখে কিনবে।

EMI কিনতে হলে কি করবেন আপনার আঁধার কার্ড ও ভোটার কার্ড ও ফটো ও ব্যাংকের বই এবং CIVIL ঠিক থাকলে তবে বাইক Finance হবে । কোন Finance থেকে লোন হচ্ছে কত পার্সেন্টেজ সুধ নিচ্ছে জানুন তার পর বাইক কিনুন।

আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না এবং বাইকটি কিনতে চাইলে নিকটস্থ শোরুমে যোগাযোগ করুন। আমাদের পশে থাকুন Dharabike.com

2 thoughts on “হোন্ডা শাইন বাইক কেমন? বিস্তারিত রিভিউ ২০২৫”

Leave a Comment